জমি রেজিষ্টেশন আইন
১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইন সংশোধন করা হয়েছে। আইনটি ১ জুলাই ২০০৫ ইং থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী জমি রেজিষ্ট্রেশনের সময় ক্রেতা ও বিক্রেতার করণীয় বিষয়গুলো হলোঃ-
(১) ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নিজের স্বাক্ষর/ টিপ সহি যুক্ত ছবি দিবে ।
(২) সম্পত্তির বিবরণসহ মানচিত্র আঁকিয়ে দিতে হবে।
(৩) সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে মর্মে হলফনামা দিতে হবে।
(৪) শেষ ২৫ বছর জমিটি কার কার মালিকানায় ছিল তা দাখিল করতে হবে।
(৫) জমির মূল্য ৫ লাখ টাকার কম হলে রেজিষ্ট্রেশন ফি হবে ৫০০ টাকা, ৫ লাখ হতে ৫০ লাখ টাকা হলে রেজিষ্ট্রেশন ফি ১০০০ টাকা, জমির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে রেজিষ্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা ৷
(৬) উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির মূল্য যাই হোক রেজিষ্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা দিতে হবে ।
(৭) জমি হস্তান্তরের সকল চুক্তি লিখিত হতে হবে এবং রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ।
(৮) বর্তমানে জমি ক্রয়ের চুক্তি, চুক্তি সম্পাদনের তারিখ হতে ১ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
(৯) সম্পত্তি বিক্রির বায়না চুক্তিও রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে, যে বায়না চুক্তিগুলি এখনও রেজিষ্ট্রি করা হয়নি সেগুলি এই আইন বলবত্ হওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে রেজিষ্ট্রি করতে হবে।
(১০) বন্ধকী জমির ক্ষেত্রে বন্ধক দাতার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কারো নিকট বন্ধক রাখা বা বিক্রি করাযাবে না।